১৩ ইস্যুতে ড. ইউনূস সরকারের পারফরম্যান্স: কোথায় ভালো করেছে, কোথায় খারাপ?
নিউজ ডেস্ক | রাজনীতিবার্তা.কম
আপডেট: জুলাই ৭, ২০২৫ , ৬:৫৪ অপরাহ্ণ

অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে সম্প্রতি একটি জরিপ করেছে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও অ্যাকশন এইড। এই জরিপের ফলাফল তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
পাঠকদের জন্য ফয়েজ আহম্মদের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
সানেম ও অ্যাকশন এইড পরিচালিত সাম্প্রতিক একটি জরিপ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম নিয়ে আশাব্যঞ্জক একটি চিত্র উপস্থাপন করেছে। জরিপে দেখা গেছে, এই সরকার মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে, যা একটি সংক্রমণকালীন সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে স্পষ্ট হয়েছে, সরকার একদিকে যেমন জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সফল হয়েছে, তেমনি কিছু ক্ষেত্রে আরও অগ্রগতির সুযোগও রয়েছে।
জরিপে দেখা যায়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৫৬% সাফল্যের হার অর্জন করেছে, যা একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এই উচ্চ ইতিবাচক মূল্যায়ন দেখায় যে, জনগণ তাদের মত প্রকাশে আগের তুলনায় অধিক স্বাধীনতা অনুভব করছে—যা একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশের মূল ভিত্তি।
এছাড়াও, সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা ক্ষেত্রে সরকার ৫৩% সাফল্যের হার অর্জন করেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে সমাজে বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা রোধে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে সরকার। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে জনগণের আস্থা প্রতিফলিত হয়েছে ৫০.৭% ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে, যা বোঝায় সরকার দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় আস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এই উচ্চ অনুমোদন হারগুলো প্রমাণ করে, সরকার জাতীয় কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ সেবা ও স্থিতিশীলতা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে।
তবে জরিপে কিছু খাত চিহ্নিত হয়েছে, যেখানে জনগণের ধারণা অনুযায়ী আরও কাজ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে, স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ এবং নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জনমত নেতিবাচক। এই বিষয়গুলোতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সরকার জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় করতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক খাতে বাস্তব পরিবর্তন আনতে পারে। একইভাবে, চাকরি সৃষ্টি ও রাজনৈতিক বিরোধ নিয়ন্ত্রণে আরও জোর দিলে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
এই জরিপে উঠে আসা তথ্য ও বিশ্লেষণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য একটি কার্যকর রোডম্যাপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। যেখানে সরকার ইতিবাচক সাফল্য অর্জন করেছে, তা আরও সুসংহত করে এবং চিহ্নিত দুর্বল জায়গাগুলিতে মনোযোগ দিয়ে সরকার জনগণের জন্য কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারে—যা বাংলাদেশের জন্য একটি স্থায়ী ও প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
রাজনীতিবার্তা.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।