দুই ভারতীয়কে গ্রেপ্তারের দাবি হেফাজতে ইসলামের

নিউজ ডেস্ক | রাজনীতিবার্তা.কম

আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২৪ , ১:১২ পূর্বাহ্ণ

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেছেন, ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাকে সমর্থন করে বিজেপির বিধায়ক নিতেশ নারায়ণ রানে আস্কারা দেওয়ার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে ভারত সরকারকে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। নতুবা তাদের সঙ্গে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটবে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিংগাইর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও ২০২১ সালে হেফাজতের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা-নির্যাতন ও গণগ্রেপ্তার, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ এ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি রক্ষার দাবিতে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে এ দাবি জানান তিনি।

এতে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

এ সময় মহাসচিব আগামীকাল দুপুর তিনটায় বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে ভারতে রাসূলুল্লাহ সা.-এর নামে জঘন্য কটূক্তির ঘটনার প্রতিবাদে এবং দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর এর উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে যোগ দিতে হেফাজতের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ দেশের আপামর তৌহিদি জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

প্রধান আলোচকের বক্তব্য মাওলানা মামুনুল হক বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপিত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটি বাতিল করায় আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আগামীতে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে কোনো নাস্তিক ও ট্রান্সজেন্ডার মতাদর্শের কেউ থাকলে তা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বরদাশত করবে না। আমরা পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে অন্তত দুইজন হক্কানি আলেমের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া বাংলাদেশে নবী সা. এর কটুক্তিকারিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আইন পাস করতে হবে এবং কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংখ্যলঘু অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী উপস্থিত কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রতি আন্তরিক মুবারকবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বিগত সরকারের আমলে সিংগাইর উপজেলায় হেফাজতের যে সব নেতাকর্মী আহত ও নিহত হয়েছেন তাদের সকলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং যাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

এ সময় আরও দেন- বক্তব্য যুগ্মমহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী বশিরুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আফসার মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা আলী আকবার কাসেমী, মাওলানা আলী আজম, সিংগাইর উপজেলা সভাপতি মুফতি আব্দুল ওয়াহহাব, উপজেলা সেক্রেটারি মুফতি আব্দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা দীন মোহাম্মদ পীর সাহেব জায়গীর, মাওলানা ফজলুল করিম, মাওলানা হারুনুর রশিদ, মাওলানা আব্বাস আলী রাব্বানী, মাওলানা মুফতি আব্দুল ওয়াহাব, মাওলানা আব্দুল্লাহ ফারুকী, মাওলানা হারুনুর রশিদ, মাওলানা মাসউদুর রহমান আইয়ুবী, মাওলানা নাজমুল হাসান, মাওলানা আশ্রাফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল আলিম, মাওলানা শাকিল আহমাদ, মাওলানা বেলাল হুসাইন, মাওলানা বাহাউদ্দিন, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা আব্দুল কারিম, মুফতি মিজানুর রহমান, মাওলানা মিজানসহ স্থানীয় নেতারা।

রাজনীতিবার্তা.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।